হারাম উপার্জন
সন্তানের ওপর প্রভাব ফেলে!
ইস’লাম ধ’র্মমতে সব ধরনের ইবাদত-বন্দেগি কবুল হওয়ার জন্য রিজিক হালাল হওয়া জরুরি। হালাল
রিজিকের প্রভাব শুধু নিজের দুনিয়া ও আখেরাতের সৌভাগ্যের জন্যই যে জরুরি তা নয়,
নিজের সন্তানের ওপরও এর
প্রভাব থাকে।
রুজি-রোজগারে খুব
সামান্য, এমনকি বিন্দু
পরিমাণ হারামের প্রভাব সন্তানের মাঝে প্রকাশ পায়। মানুষ হিসেবে আম’রা ভুল-ক্রুটির ঊর্ধ্বে নই।
ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়,
জেনে না জেনে আমাদের থেকে
ভুল আচরণ প্রকাশ পেতেই পারে।আমাদের জীবনে যদি এ জাতীয় ঘটনা ঘটে থাকে।
অর্থাৎ আম’রা যদি অন্যের কোনো কিছু ভোগ করে থাকি বিনা
অনুমতিতে এবং এ জন্য পরে মালিকের সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা না করি- তাহলে অবিলম্বে
ক্ষমা বা তার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। যদি মালিক মা’রা গিয়ে থাকেন তাহলে তার সন্তানদের কাছে ক্ষমা
চাইতে হবে। আর যদি তাদের কাউকেই পাওয়া সম্ভব না হয় তাহলে ওই পরিমাণ সম্পদ তাদের
নামে সদকা দেয়া উচিত। সেই সঙ্গে তওবাও করতে হবে, ভবিষ্যতে এ কাজ আর না করার।
বস্তুত আল্লাহর
প্রতি দৃঢ়-বিশ্বা’স ও ভরসা করাই
হচ্ছে খাঁটি মুমিনের বৈশিষ্ট্য। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে কারিমে বলা হয়েছে, ‘তোম’রা মন-ভাঙ্গা হয়ো না, হীনবল হয়ো না,
তোম’রাই বিজয়ী হবে যদি তোম’রা মুমিন হও।
‘আল্লাহতায়ালা
সূরা ইবরাহিমে আরও বলেছেন, ‘যদি কৃতজ্ঞতা
স্বীকার করো, তবে তোমাদেরকে
আরও দেব এবং যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমা’র শা’স্তি হবে কঠোর।’তাই সর্বাগ্রে
আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বা’স স্থাপন করতে
হবে। আমাদের প্রচেষ্টা যদি আন্তরিক হয়, আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়- তাহলে আশা
করা যায়, আল্লাহতায়ালা
আমাদের সমস্ত বৈধ বাসনা পূরণ করবেন, আমাদের দোয়াসমূহ কবুল করবেন।
আল্লাহতায়ালা
আমাদের সব সমস্যার সমাধান দিতে পারেন এই দৃঢ়-বিশ্বা’স আমাদের রাখা উচিত। আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে
পথ-নির্দেশনা কামনা করলে, আল্লাহ অবশ্যই তা
কবুল করবেন।
আল্লাহর ম’র্জি হলে, যা ঘটা আপাতদৃষ্টিতে অসাধ্য বলে মনে হয় তাও
সাধন সম্ভব। অনেক খোদাভীরু ব্যক্তির কথা জানা যায়, যারা ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ বলে নদীর পানির
ওপর দিয়ে এমনভাবে হেঁটে নদী পার হয়েছেন যেভাবে আম’রা পার হই মাটির রাস্তা। আল্লাহর প্রিয়পাত্রদের
জন্য এসব খুবই সাধারণ ঘটনা। তার মানে এটা নয় যে, সবাইকে পানির ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে হবে।
বিষয়টি শুধু
শিক্ষা অর্জনের জন্য উল্লেখ করা হলো।আমাদের সন্তানরা ভালো থাকুক, এটা সবারই কাম্য। কিন্তু তাদের ভালো রাখতে যেয়ে,
শান্তি নিশ্চিত করতে
তাদের মুখে হারাম খাবার, গায়ে হারাম পোষাক
দেওয়া ঠিক হবে না। এটা তাদের ভবিষ্যতকে ধ্বং’স করারই নামান্তর।
No comments:
Post a Comment